নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, গ্রুপিং ও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশকে যখন গণতন্ত্রহীন করা হয়েছে, জনগণ থেকে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একনায়কতন্ত্র ফ্যাসিজম কায়েম করা হয়েছে, তখন দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে জিয়া পরিবার সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহী সিটি কনভেনশন সেন্টারে বিকাল ৪ টায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে রাজশাহী জেলা যুবদলের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, জিয়া পরিবারের হিসেবহীন ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বিগত সময়ে তারেক রহমানের স্পাইনাল কড মেরুদন্ডের ক্ষতি করে নির্বাসন হতে বাধ্য করেছিলো। সারা বাংলাদেশে বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যে শক্তভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আজ এতটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন তার শুরু দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই। তাঁর অবর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ সারাদেশে দলের সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংগঠিত।
প্রধান অতিথি বলেন, দীর্ঘ দেড়যুগ ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকারের হামলা-মামলা, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরও বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর মনোবল কেউ ভাঙতে পারেনি। কারণ মানুষ অন্তর দিয়ে ভালবাসে শহীদ জিয়াকে, ভালবাসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁদের সুযোগ্য উত্তরাধিকার তারেক রহমানকে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন ও দেশ গঠনে এই পরিবারের অবদান অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশের মানুষ। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার পরও দেশ ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। পরিকল্পিতভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে এখন ব্যাপক অপপ্রচার হচ্ছে। সে কারণে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাবধানে রাজনীতি করতে হবে বলেও জানান তিনি।
তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে রাজশাহীতে যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, মানুষের যে আশা-প্রত্যাশা, তা পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। ভাল কাজের মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে হবে। রাজনীতির অপর নাম হচ্ছে ত্যাগ, মানুষের সেবা করা। আমরা মানুষের যত সেবা করবো, ততই মানুষ আমাদের ভালবাসবে। এটাই বিএনপির রাজনীতি। এটাই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনীতি।
রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল এবং সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোর সঞ্চালনায়,রাজশাহী জেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান স্বজনের সভাপতিত্বে, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মিলন,পাঠগার বিষয়ক সম্পাদক মাইনুদ্দিন খোকন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক ইঞ্জি: সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।